বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায় বিএনপি: তারেক রহমান

তরফ নিউজ ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তার দল একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়—যে বাংলাদেশের স্বপ্ন একজন মা দেখেন। এমন বাংলাদেশ, যেখানে নারী, পুরুষ বা শিশু—যেই হোক না কেন, ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে আবার ঘরে ফিরতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনায় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ‘সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু—যেই হোক না কেন, নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে যেন আবার নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারে।’

বক্তব্যের শুরুতে তিনি মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জনগণের দোয়ায় তিনি প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আজ আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি। আপনাদের দোয়ায় আজ আমি আপনাদের মাঝে।’

তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। পরে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে আধিপত্যবাদী শক্তির হাত থেকে রক্ষা করা হয়। পরবর্তী সময়েও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করেছে। তবে ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতাসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ—কৃষক, শ্রমিক, নারী-পুরুষ, গৃহবধূ, মাদ্রাসার ছাত্রসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ দল-মত নির্বিশেষে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। মানুষ চায় যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার।

তারেক রহমান বলেন, এ দেশে পাহাড়ি ও সমতলের মানুষ রয়েছে, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। সবাইকে নিয়েই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, চার কোটির বেশি তরুণ, প্রায় পাঁচ কোটি শিশু এবং প্রায় ৪০ লাখ প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে। পাশাপাশি কয়েক কোটি কৃষক-শ্রমিক রয়েছে। এই মানুষগুলোর রাষ্ট্রের কাছে প্রত্যাশা আছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে সেই প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।

বক্তব্যের শেষাংশে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে শহীরা একটি বাংলাদেশ গড়ার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আর গত ১৫ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের সদস্য ছাড়াও শত শত, হাজারো মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছে।

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com